Wednesday 27 December 2017

Chanti Path Chapter 2 শ্রীশ্রীদুর্গাসপ্তশতী দ্বিতীয় অধ্যায়

শ্রী চণ্ডী মাহাত্য
।। শ্রীদুর্গাকে প্রণাম ।।
শ্রীশ্রীদুর্গাসপ্তশতী
দ্বিতীয় অধ্যায়
দেবতাদের পুঞ্জীভূত তেজে দেবীর আবির্ভাব এবং মহিষাসুরের সৈন্য বধ
বিনিয়োগ :-
ওঁ মধ্যম চরিত্রের ঋষি বিষ্ণু, দেবতা মহালক্ষ্মী, উষ্ণিক্ ছন্দ, শাকম্ভরী শক্তি, দুর্গা বীজ, বায়ু তত্ত্ব এবং যজুর্বেদ স্বরূপ। শ্রীমহালক্ষ্মীর প্রসন্নতালাভের উদ্দেশ্যে মধ্যম চরিত্রের পাঠের বিনিয়োগ করা হয়।
ধ্যান :-
কমলাসনে অধিষ্ঠিতা, প্রসন্নাননা যিনি, যার হাতে রুদ্রাক্ষের জপমালা, কুঠার, গদা, বাণ, বজ্র, পদ্ম, ধনু, কমণ্ডলু, দণ্ড, শক্তি, খড়্গ, ঢাল, শঙ্খ, ঘন্টা, সুরাপাত্র, শূল, পাশ এবং সুদর্শনচক্র ধারণ করা আছে, সেই মহিষাসুরমর্দিনী ভগবতী মহালক্ষ্মীর ধ্যান করি।
মেধা ঋষি বললেন - ।।১।।
পূর্বকালে পূর্ণ একশ বছর ধরে দেবতা ও অসুরদের ঘোর যুদ্ধ হয়েছিল। সেই যুদ্ধে অসুরদের রাজা মহিষাসুর আর দেবতাদের অধীশ্বর ছিলেন ইন্দ্র। ওই যুদ্ধে মহাবীর অসুরদের হাতে দেবতারা পরাজিত হন। দেবতাদের পরাভূত করে মহিষাসুর স্বর্গের অধিপতি হয়ে বসলেন ।।২-৩।।
পরাজিত দেবতারা তখন প্রজাপতি ব্রহ্মাকে অগ্রবর্তী করে ভগবান শিব ও বিষ্ণুর সমীপে গমন করলেন ।।৪।।
মহিষাসুরের পরাক্রম এবং নিজেদের পরাজয়ের কাহিনী সবিস্তারে তাঁরা বিষ্ণু ও শিবের কাছে বর্ণনা করলেন ।।৫।।
তাঁরা বললেন - "হে ভগবন্! সূর্য, ইন্দ্র, অগ্নি, বায়ু, চন্দ্র, যম, বরুণ ও অন্যান্য দেবতাদের অধিকার হরণ করে মহিষাসুর নিজেই সব অধিকার করে বসেছে ।।৬।।
সেই দুরাত্মা মহিষাসুর সব দেবতাদের স্বর্গ থেকে বিতাড়িত করে দিয়েছে। সেই সব দেবতারা এখন মানুষদের মত পৃথিবীতে বিচরণ করছেন ।।৭।।
অসুরদের দৌরাত্ম্যের সব কথাই আমরা আপানাদের জানালাম। আমরা এখন আপনাদের শরণাপন্ন হলাম। আপনারা এই মহিষাসুরের বধের কোনও ব্যবস্থা করুন ।।৮।।
দেবতাদের কাছে এই সব শুনে মধুসূদন ও মহাদেব অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হলেন। তাঁদের ভ্রুকুটি ভঙ্গে তাঁদের মুখ ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করল ।।৯।।
তখন অত্যন্ত ক্রোধান্বিত চক্রপাণি শ্রীবিষ্ণুর বদন থেকে এক মহাতেজ নির্গত হল। সাথে সাথে ব্রহ্মা, শিব, তথা ইন্দ্রাদি অন্যান্য দেবতাদের শরীর থেকেও সুবিপুল তেজ নির্গত হল। এই সমস্ত মিলে একত্র হয়ে গেল ।।১০-১১।।
মহা মহা তেজের সেই পুজ্ঞীভূত রাশি এক জ্বলন্ত পর্বতের মত দেখা যেতে লাগল। দেবতারা দেখলেন সেই সুদীপ্ত তেজঃপুঞ্জ দশদিক ব্যাপ্ত করে রয়েছে ।।১২।।
সকল দেবতাদের শরীর থেকে নিঃসৃত সেই তেজের কোন তুলনাই হয় না। একত্র হয়ে সেই তেজ একটি নারী মূর্তি ধারণ করল এবং আপন তেজে ত্রিলোক ব্যাপ্ত করে রাখল ।।১৩।।
শম্ভুর তেজে সেই নারীমূর্তির মুখ তৈরী হল, যমের তেজে তৈরি হল মাথার চুল। বিষ্ণুর তেজে তৈরি হল তাঁর বাহুসকল ।।১৪।।
চন্দ্রতেজে তাঁর স্তনযুগল আর ইন্দ্রের তেজে শরীরের মধ্যভাগ, বরুণের তেজে জঙ্ঘা ও ঊরুদ্বয় এবং পৃথিবীর তেজে তাঁর নিতম্ব উদ্ভূত হল ।।১৫।।
ব্রহ্মার তেজে পদযুগল, সূর্যের তেজে পদযুগলের অঙ্গুলিসকল,অষ্টবসুর তেজে হাতের সকল আঙ্গুল এবং কুবেরের তেজে তাঁর নাসিকা উৎপন্ন হল ।।১৬।।
প্রজাপতিগণের তেজে দন্তপাটি এবং অগ্নির তেজে তিনটী চক্ষু উৎপন্ন হল ।।১৭।।
সন্ধ্যাদেবীর তেজে তাঁর ভ্রুযুগল এবং বায়ুর তেজে কান দুটী এবং এইরকম অন্যান্য দেবতাগণের তেজঃপুঞ্জ থেকেও সেই মঙ্গলময়ী দেবীর আবির্ভাব হল ।।১৮।।
তারপর সমস্ত দেবতাদের তেজরাশিসম্ভূতা দেবীকে দেখে মহিষাসুরপীড়িত দেবতারা আনন্দিত হলেন ।।১৯।।
ত্রিশূলধারী ভগবান শঙ্কর তাঁর শূল থেকে শূলান্তর এবং ভগবান বিষ্ণু চক্র থেকে চক্রান্তর উৎপাদন করে ভগবতীকে দিলেন ।।২০।।
ররুণদেব দিলেন শঙ্খ, অগ্নি দিলেন শক্তি, পবনদেব একটী ধনু ও বাণদ্বারা পূর্ণ দুটী তূণ দিলেন ।।২১।।
সহস্ত্রনয়ন দেবরাজ ইন্দ্র নিজের বজ্র থেকে বজ্রান্তর এবং ঐরাবত হাতীর গলার থেকে একটী ঘন্টাও দিলেন ।।২২।।
যমরাজ কালদণ্ড থেকে দণ্ডান্তর, জলদেবতা বরুণ নিজের পাশ থেকে একটি পাশ, প্রজাপতি রুদ্রাক্ষের মালা এবং ব্রহ্মা কমণ্ডলু দেবীকে দিলেন ।।২৩।।
সূর্যদেব দেবীর সমস্ত রোমকূপে নিজের রশ্মিজাল ভরে দিলেন। কাল অর্থাৎ মৃত্যুদেবতা একটী প্রদীপ্ত ঢাল এবং উজ্জ্বল তরোয়াল দিলেন ।।২৪।।
হ্মীরসমুদ্র দিলেন উজ্জ্বল হার ও চিরনূতন দিব্য বস্ত্রের সঙ্গে দিব্য চূড়ামণি, দুটী কুন্তল, হাতের বালা, ললাটভূষণ উজ্জ্বল অর্দ্ধচন্দ্র, সকল বাহুর জন্য কেয়ূর, দুই চরণের জন্য নির্মল নূপুর, অতি উত্তম কণ্ঠাভরণ, এবং সব আঙ্গুলের জন্য রত্নাঙ্গুরী। দেবশিল্পী বিশ্বকর্মা দিলেন অতি নির্মল ধারাল কুঠার ।।২৫-২৭।।
এর সাথে নানাপ্রকার অস্ত্রশস্ত্র এবং অভেদ্য কবচও দিলেন। এছাড়া মস্তক এবং বহ্মঃস্থলে ধারণ করার জন্য অম্লান পদ্মের মালা দিলেন ।।২৮।।
সমুদ্র তাঁর হাতে একটী অতি সুন্দর পদ্মফুল দিলেন। বাহনস্বরূপ সিংহ ও বিবিধ রত্ন দিলেন পর্বতাধিপতি হিমালয় ।।২৯।।
ধনাধ্যক্ষ কুবের সদাই সুরাপূর্ণ একটী পানপাত্র এবং নাগাধিপতি বাসুকি যিনি এই পৃথিবীকে ধারণ করে আছেন দেবীকে বহুমূল্য রত্নে বিভূষিত নাগহার দিলেন। এইভাবে অন্যান্য দেবগণও অলঙ্কার ও অস্ত্রশস্ত্রাদি দিয়ে দেবীকে সম্মানিত করলেন। এই সমস্ত জিনিষে সজ্জিতা হয়ে দেবী বারংবার অট্টহাস্যে হুঙ্কার করতে লাগলেন। সেই মহান ঘোর গর্জনে সমগ্র আকাশ গুজ্ঞিত হল ।।৩০-৩২।।
দেবীর সেই সিংহনাদের ভয়ানক প্রতিধ্বনি উঠল, চতুর্দশ ভুবন সংহ্মুদ্ধ, সপ্ত সমুদ্র প্রকম্পিত হতে থাকল ।।৩৩।।
পৃথিবী বিচলিত হল আর পর্বতসমূহ দুলতে লাগল। তখন দেবতারা অসীম আনন্দে সিংহবাহিনী ভবানীর জয়ধ্বনি দিয়ে বললেন - দেবি! তোমার জয় হোক ।।৩৪।।
মুনিগণ ভক্তিভরে বিনম্রভাবে দেবীকে স্তব করতে লাগলেন। সমস্ত ত্রিলোকবাসীকে সন্ত্রস্ত দেখে অসুররা নিজেদের সমস্ত সৈন্যদের সুসজ্জিত করে অস্ত্র-শস্ত্রাদ
ি উদ্যত করে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হল। মহিষাসুর তখন ক্রোধে সেখানে এসে বলল ---'আঃ! এ সব কি!' এই কথা বলে সব অসুরদের নিয়ে সে সেই সিংহনাদের দিকে ধাবিত হল এবং সেখানে গিয়ে যিনি নিজ অঙ্গজ্যোতিতে ত্রিভুবন আলোকিত করে রয়েছেন সেই দেবীকে দেখতে পেল ।।৩৫-৩৭।।
তাঁর পদভারে পৃথিবী নত হয়ে পড়েছে। তাঁর মাথার মুকুট আকাশে রেখা টানার ন্যায় স্পর্শ করেছে এবং তার ধনুকের টঙ্কার পাতাল পর্যন্ত সাত নিম্নলোক আকুলিত করছে ।।৩৮।।
তাঁর সহস্র বাহুতে দশদিক আচ্ছাদিত করে তিনি দাঁড়িয়ে আছেন। তখন অসুরদের সাথে দেবীর যুদ্ধ আরাম্ভ হল ।।৩৯।।
নানারকম নিক্ষিপ্ত অস্ত্রশস্ত্রের দীপ্তিতে দশদিক উদ্ভাষিত হতে লাগল। মহিষাসুরের সেনাপতির নাম মহাসুর চিক্ষুর ।।৪০।।
সে দেবীর সাথে যুদ্ধ করতে লাগল। চতুরঙ্গিণী বাহিনী পরিবেষ্টিত চামর অন্য অসুরগণকে সঙ্গে নিয়ে যুদ্ধ আরম্ভ করল। ষাট হাজার রথীদের সঙ্গে নিয়ে উদগ্র নামে মহাসুর যুদ্ধ আরম্ভ করল ।।৪১।।
এক কোটি রথী নিয়ে মহাহনু অসুর যুদ্ধ করতে এল। অসিলোমা নামে মহাসুর, যার গায়ের রোমসমূহ অসির মত তীক্ষ্ন ছিল, পাঁচ কোটি রথী নিয়ে যুদ্ধ আরম্ভ করল ।।৪২।।
ষাট লাখ রথী নিয়ে বাস্কলাসুর রণক্ষেত্রে যুদ্ধ করতে লাগল। পরিবারিত নামে এক মহাসুর বহু সহস্র হাতী ও অশ্বারোহীর সঙ্গে এক কোটি রথীকে নিয়ে যুদ্ধ করতে লাগল। বিড়াল নামের মহাসুর পাঁচ অর্বুদ রথীদের নিয়ে যুদ্ধ আরম্ভ করল। এরা ছাড়াও অন্যান্য বহুসংখ্যক মহাসুরগণ রথ, হাতী, ঘোড়া, সৈন্যসামন্ত নিয়ে দেবীর সাথে যুদ্ধ করতে লাগল। স্বয়ং মহিষাসুর সেই যুদ্ধে কোটি কোটি সহস্র রথ, হাতী ও অশ্বারোহী সেনাদের নিয়ে যুদ্ধ আরম্ভ করল। সেই সব মহাসুরেরা তোমর(শাবল), ভিন্দিপাল, শক্তি, মুষল, খড়্গ, পরশু(কুঠার) এবং পট্টিশ প্রভৃতি অস্ত্রসমূহ দ্বারা দেবীর সাথে যুদ্ধ করতে লাগল। কিছু সংখ্যক অসুর আবার শক্তি, কেউ কেউ পাশ দেবীর ওপর নিক্ষেপ করল ।।৪৩-৪৮।।
কেউ কেউ বা খড়্গের আঘাতে দেবীকে বধ করবার চেষ্টা করল। দেবীও অনায়াসেই নিজের অস্ত্র-শস্ত্র বর্ষণ করে অসুরদের সেই সব অস্ত্র-শস্ত্রকে ছেদন করলেন। তাঁর মুখের ওপর পরিশ্রম বা ক্লান্তির কোনও চিহ্নমাত্রও দেখা গেল না, দেবতা ও ঋষিগণ তাঁকে স্তুতি করতে থাকলে ভগবতী পরমেশ্বরী অসুরদের শরীরে অস্ত্রশস্ত্রাদি নিক্ষেপ করতে লাগলেন। দেবীর বাহন সিংহও ক্রোধে কেশর ফুলিয়ে অসুরসৈন্যের মধ্যে দাবানলের মত বিচরণ করতে লাগলেন। রণক্ষেত্রে যুদ্ধ করতে করতে অম্বিকাদেবী যত নিঃশ্বাস ফেললেন, সেই সব নিঃশ্বাস হতে তৎক্ষনাৎ শত শত সহস্র সহস্র দেবীর গণ অর্থাৎ দেবীর সৈন্যরূপে উৎপন্ন হলেন এবং পরশু, ভিন্দিপাল, খড়্গ তথা পট্টিশাদি অস্ত্রদ্বারা অসুরদের বধ করতে লাগলেন ।।৪৯-৫৩।।
দেবীর শক্তিতে শক্তিমান হয়ে সেই দেবীসৈন্যেরা নাগাড়া ও শঙখ ইত্যাদি বাজাতে বাজাতে অসুরসেনা ধ্বংস করতে লাগলেন ।।৫৪।।
সেই যুদ্ধমহোৎসবে দেবীসৈন্যরা মৃদঙ্গ বাজাচ্ছিলেন। অতঃপর দেবী নিজে ত্রিশূল, গদা, শক্তি অস্ত্র বর্ষণ করে এবং খড়্গ ইত্যাদি দ্বারা শত শত মহাসুর বিনাশ করলেন। অপর কতকগুলি অসুরকে ঘন্টার ভয়ঙ্কর ধ্বনি দিয়ে বিমোহিত করে বধ করলেন ।।৫৫-৫৬।।
আবার কতকগুলিকে পাশবদ্ধ করে ভূমিতে পাতিত করলেন। কত না অসুর তাঁর তীক্ষ্ন তরোয়ালের আঘাতে দু টুকরো হয়ে প্রাণত্যাগ করল ।।৫৭।।
কতকগুলি গদাঘাতে চূর্ণ হয়ে ভূতলে নিপাতিত হল। অনেকগুলো আবার মুষলাঘাতে আহত হয়ে রক্ত বমন শুরু করল। সেই যুদ্ধক্ষেত্রে কোনও কোনও অসুর সর্বাঙ্গে বাণবিদ্ধ হয়ে প্রাণত্যাগ করল ।।৫৮-৫৯।।
বাজপাখীর মত ঝাপটাদেওয়া দেবশত্রু অসুরগণ নিজেদের প্রাণ দিয়ে নিজেদের ক্ষয় করতে লাগল। কারও কারও বাহুসকল ছিন্ন ভিন্ন হয়ে গেল। কারোর ঘাড় ভেঙ্গে গেল। কারো কারো মস্তক বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে লাগল। কারোর দেহের মধ্যভাগ বিদীর্ণ হয়ে গেল। কতকগুলোর জঙ্ঘা ছিন্ন হয়ে মাটীতে লুটাতে লাগল। অনেককে দেবী এক বাহু, এক পা, আবার এক চক্ষু করে দ্বিখণ্ডিত করে মাটীতে লুটিয়ে দিলেন। কতকগুলি অসুরের মস্তক ছিন্ন হওয়া সত্তেও মাটিতে পড়ে গিয়ে আবার উঠে দাঁড়াল এবং মস্তকহীন শরীরে ভাল ভাল অস্ত্র নিয়ে দেবীর সাথে যুদ্ধ করতে লাগল। অনেকগুলো কবন্ধ আবার যুদ্ধের বাজনার তালে তালে নৃত্য করতে লাগল ।।৬০-৬৩।।
কিছু কিছু কবন্ধ খড়্গ, শক্তি ও খষ্টি হাতে নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করতে লাগল এবং অন্যান্য মহাসুরেরা 'দাঁড়াও দাঁড়াও' বলে দেবীকে যুদ্ধে আহ্বান করতে লাগল। যেখানে ওই বিশাল মহাযুদ্ধ হয়েছিল, সেখানকার পৃথিবীর জায়গাগুলি দেবীর দ্বারা পাতিত রথ, হাতী, ঘোড়া এবং অসুরদের মৃতদেহে এমন স্তূপীকৃত হয়েছিল যে, সে সব জায়গায় চলাফেরাও করা যাচ্ছিল না ।।৬৪-৬৫।।
অসুর সৈন্যদের হাতী, ঘোড়া এবং মৃতদেহের থেকে এতই রক্তপাত হয়েছিল যে অল্পক্ষণের মধ্যেই সেখানে বড় বড় রক্তনদী বইতে লাগল ।।৬৬।।
আগুন যেমন তৃণ ও কাঠের বিশাল বিশাল স্তূপকে মুহূর্তের মধ্যেই ভস্মসাৎ করে দেয়, জগদম্বাও তেমনই ক্ষণকাল মধ্যে অসুরদের বিশাল সেনাকে বিনাশ করলেন ।।৬৭।।
আর সেই সিংহও কেশর ফুলিয়ে ফুলিয়ে ভীষণ গর্জন করতে করতে অসুরদের দেহ থেকে প্রাণ বের করে নিচ্ছিলেন ।।৬৮।।
যুদ্ধক্ষেত্রে দেবীর সৈন্যগণও সেই অসুরদের সাথে এমন ভীষন যুদ্ধ করলেন যে আকাশ থেকে দেবতাগণ তাঁদের ওপর পুষ্পবৃষ্টি করে আনন্দ প্রকাশ করলেন ।।৬৯।।
শ্রীমার্কন্ডেয়পুরাণে সাবর্ণিকমন্বন্তরে দেবীমাহাত্ম্য প্রসঙ্গে মহিষাসুরসৈন্যবধ
নামক দ্বিতীয় অধ্যায় সম্পূর্ণ হল ।।২।।

No comments:

Post a Comment